বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য, বিড়ালের উপকারিতা কি ?

বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য জেনে আপনি অবাক হবেন। বিড়াল আমাদের নিকটবর্তী একটি প্রাণী হওয়ার শর্তেও এদের সম্পর্কে আমাদের অনেক কিছু অজানা রয়ে গেছে। আজকের পোস্টে বিড়াল সম্পর্কে ১০ টি বাক্য নিয়ে আলোচনা করব। যা আজ পর্যন্ত আপনাকে কেউই বলেনি। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য।
 

বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য
 বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য



বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য


বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য নিম্নে তুলে ধরা হলো। যেগুলো বিভিন্ন পরিক্ষা, প্রতিযোগীতা বা অন্যান্য প্রয়োজনে লাগতে পারে।


01. গবেষণায় দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় গৃহপালিত চতুষ্পদ প্রাণী বিড়াল। যুক্তরাষ্ট্রের APPMA পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে যে সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে জুড়ে প্রায় ৭৩ মিলিয়নেরও বেশি পোষা বিড়াল রয়েছে।


02. গবেষণায় আরোও দেখা গেছে বিড়াল খুবই ঘুম প্রিয় একটি প্রাণী। এরা জীবনের প্রায় দুই দ্বিতীয় অংশ সময় ঘুমিয়ে কাটায়। অর্থাৎ কোন বিড়ালের বয়স যদি ৯ বছর হয় তাহলে। সে তার জীবনের ৬ টি বছর ঘুমিয়ে কাটিয়েছে।


03. বিড়ালের কামড় বিপদজনক। বিড়ালের কামড়ের সাথে লালা বের হয়। যেখানে ব্যাকটেরিয়া জীবাণু রয়েছে যার থেকে জলাতঙ্কের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।


04. বিড়ালের মানুষের মত আবেগ অনুভূতি রয়েছে। বিড়ালের মানুষের মতই সুখ, দুঃখ, আবেগ, অনুভূতি রয়েছে। যদিও এটা নিয়ে বির্তকের শেষ নেই। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে। মানুষের মস্তিস্কের যে অংশে ‘gary matter’ রয়েছে এর সাথে বিড়ালের মস্তিস্কের সেই অংশের সাদৃশ্য রয়েছে।


05. বিড়ালের জন্মগত GPS ক্ষমতা রয়েছে। বিড়াল হারিয়ে গেলে বা বিড়ালকে অজানা স্থানে রেখে আসলে তারা নিজে থেকে বাড়ি খুঁজে নিতে পারে। বিড়ালের এমন ক্ষমতাকে বিশেষজ্ঞরা PSI traveling এর সাথে তুলনা করেছেন।


06. বিড়াল অনেক উঁচুতে লাফাতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে বিড়াল তার নিজের উচ্চতার চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বেশি উপরে লাফাতে পারে। এছাড়াও বিড়ালের দৈহিক গঠনের কারণে এরা অনেক উচ্চতা থেকে লাপ দিলেও এদের দেহে কোন ক্ষতি হয় না। যেটা হয়ত আপনি নিজেও দেখে থাকবেন।


07. বিড়ালের জন্য ‘Kitty litter’ কেনার করার দরকার নেই। বিড়াল টয়লেট ব্যবহার করতে সক্ষম। আপনার পোষা বিড়ালকে যদি নিয়মিত টয়েলট ব্যবহারের অভ্যস্ত করেন। তাহলে মল ত্যাগের সময় সে নিজে থেকে টয়লেট খুঁজে নিবে।


08. মানুষের চেয়ে বিড়ালের দেহে ৮৪ টি হাড় বেশি রয়েছে। যেখানে মানুষের দেহে হাড়ের পরিমান ২০৬ টি সেখানে বিড়ালের দেহে এই হাড়ের পরিমান প্রায় ২৯০ টি। যার ফলে এরা অনেক উচু স্থান থেকে অক্ষতভাবে লাফাতে পারে।


09. বিড়ালের অসাধারণ ৪টি পা রেয়েছে। এদের প্রতিটি পায়ের নিচে নরম মাংস পেশি রয়েছে। যার ফলে এরা নিঃশব্দে চলাফেরা করতে পারে এবং উঁচু স্থান থেকে লাফানোর পর ব্যথা অনুভব করে না। এছাড়াও এদের নখের গঠন শক্তিশালী হওয়ায় এরা খুঁব সহজে যেকোন গাছে চড়তে পারে।


10. বিড়ালের চোখের রং পরিবর্তনশীল। বয়স বাড়ার সাথে সাথে এদের চোখের রং ও পরিবর্তন হয়।


আরো পড়ুন:-



বিড়াল সম্পর্কে ৫টি বৈশিষ্ট্য


উপরে আমরা বিড়াল সম্পর্কে ১০টি বাক্য দেখলাম। এখন বিড়াল সম্পর্কে ৫টি বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করব।


01. রাতের বেলায় বিড়ালের দৃষ্টি শক্তি খুবই তীক্ষ্ণ হয়। এরা রাতেও ভালো দেখতে পায়। বিড়াল ক্রেপাসকুলার জাতের অন্তভূক্ত। যার মানি এরা সকাল ও সন্ধ্যায় সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়।


02. বিড়াল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে ভালোবাসে। এরা সর্বদা পরিষ্কার জায়গা দিয়ে চলাফেরা করে।


03. ২০১৬ সালের IPCBA এর তথ্য মোতাবেক এখন পর্যন্ত প্রায় ৭৩ প্রজাতির বিড়ালের সন্ধান পাওয়া গেছে।


04. পুরো পৃথিবী জুড়ে প্রায় ৬০ কোটির ও বেশি বিড়াল রয়েছে বলে ধারণা করা হয়।


05. রাগডল প্রজাতির বিড়াল সবচেয়ে দামী হয়ে থাকে। এদের একেকটার দাম কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত হয় থাকে।


বিড়ালের স্বভাব কেমন ?

বিড়াল ঘুম প্রিয় প্রাণী এরা জীবনের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ সময় ঘুমিয়ে কাটায়। বিড়ালের দৈনিক ১৭ ঘন্টা পর্যন্ত ঘুমানোর রেকর্ড রয়েছে। এরা দুধ, মাছ, মাংস খেতে বেশি পর্যন্ত করে। এরা ভোরে ও সন্ধ্যায় বেশি সক্রিয় থাকে। বিড়াল খেলাধুলা করতে পছন্দ করে। এরা মানুষের মতোই আবেগ, অনুভূতি, সুখ দুঃখ বুঝতে পারে।

বিড়ালের উপকারিতা কি ?

বিড়াল পালনের অনেক উপকারিতা রয়েছে। যেমন: বিড়াল ইঁদুর ও চিকা থেকে ঘরের মূল্যবান আসবাবপত্র রক্ষা করে। বিড়াল মানুষের একাকীত্ব দূর করে। এরা খুব সহজে পোষ মেনে যায়। ফলে যেকারো সাথে খুব দ্রুত বন্ধুত্ব করতে পারে।


গবেষণায় দেখা গেছে বিড়াল মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। যারা বিড়াল পোষেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম থাকে।


গবেষণায় আরোও দেখা গেছে বিড়ালের মিউ মিউ শব্দ ২০-১৪০ হর্জ পর্যন্ত শব্দ উৎপন্ন করে যেটা শরীরের পেশী ও অস্থির প্রদাহ নিরাময়ে কাজ করে। মায়োক্লিনিক সেন্টার ফর স্লিপ মেডিসিনের এক গবেষণা অনুযায়ী। বিড়ালের উপস্থিতে ঘুম ভালো হয়। তাই ঘুমের সঙ্গী হিসেবে বিড়াল রাখতে পারেন।

বিড়ালের খাদ্যাভাস কি ?

বিড়াল মাংসাশী প্রাণী হওয়ায় এরা গরু মাংস, মুরগি মাংস, মাছ ইত্যাদি খেতে ভালোবাসে। এছাড়াও বিড়াল গরুর দুধ খেতে পছন্দ করে। তবে বিড়াল মিষ্টির স্বাদ নিতে পারে না। তাই বিড়ালের দুধে চিনি না দিলেও তারা বুঝতে পারবে না। ৪-১২ সপ্তাহের বিড়ালদের Kitten food ও তরল দুধ খাওয়ানো যেতে পারে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url