ঢাকার পার্ক সমূহ এর তালিকা | List of Parks in Dhaka
এই ব্লগ পোস্টে ঢাকার পার্ক সমূহ এর তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। ভ্রমন পিপাসু মানুষদের জন্য ঢাকার পার্ক সমূহ সম্পর্কিত আজকের লেখাটি অনেক সহায়ক হবে। কারণ, এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে ঢাকার মধ্যে অবস্থিত সকল পার্ক সমূহ এর তালিকা প্রদান করবো।
এর পাশাপাশি আপনি কিভাবে সেই পার্ক গুলোতে যেতে পারবেন, আপনার কি পরিমান টাকা খরচ হবে, সেখানে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা কেমন এই যাবতীয় বিষয় গুলো বিষদভাবে আলোচনা করবো।
ঢাকার পার্ক সমূহ এর তালিকা |
ঢাকার পার্ক সমূহ এর তালিকা | List of parks in Dhaka
আমাদের বাংলাদেশের রাজধানী শহরের নাম হলো, ঢাকা। আর সে কারণে এই শহরে দেশের সবচেয়ে বৃহৎ ও জনপ্রিয় পার্ক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাই সবার শুরুতে আমি আপনাকে একটি তালিকা প্রদান করবো। যে তালিকায় আপনি ঢাকার পার্ক সমূহ এর নাম দেখতে পারবেন। যেমন:-- তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক
- বাহাদুর শাহ পার্ক
- আলাদিন পার্ক
- যমুনা ফিউচার পার্ক
- রমনা পার্ক
- বুড়িগঙ্গা ইকো পার্ক
- ফ্যান্টাসি কিংডম
- নন্দন পার্ক
- ফ্যান্টাসি আইল্যান্ড পার্ক
- ঢাকা শিশু পার্ক
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের রাজধানী ঢাকায় যেসব জনপ্রিয় পার্ক আছে সেগুলোর নাম উপরের তালিকায় শেয়ার করা হয়েছে। তো এবার আমি ধাপে ধাপে সেই ঢাকার পার্ক সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো। যাতে করে আপনি আমার লেখা আর্টিকেল থেকে বিস্তারিত জানতে পারেন।
আরো পড়ুন:-
হারানো বাংলালিংক সিম তোলার উপায় ২০২৪
স্ত্রীর মন জয় করার ১০ টি নতুন কৌশল
০১ - তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক | Tamanna World Family Park
ঢাকার পার্ক সমূহের মধ্যে থাকা পার্ক গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো, তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক। যেখানে একবার যেতে পারলে আপনার অনেক ভালো লাগবে। কারণ, এই পার্কটি প্রায় ০১ একর জায়গার উপর নির্মিত হয়েছে। এছাড়াও জনপ্রিয় এই পার্কটি তুরাগ নদীর তীরে অবস্থিত যার কারণে আপনি প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।
আর আপনি যদি জনপ্রিয় এই পার্কে ভ্রমন করতে চান তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে ঢাকা মিরপুর-১ এ আসতে হবে। তারপর সেখান থেকে আপনাকে লেগুনায় মিরপুর বেড়িবাঁধ যেতে হবে। সেখানে যাওয়ার পর আপনি এই পার্কের নাম জিজ্ঞেস করলেই তারা আপনাকে পার্কের পথ জানিয়ে দিবে। অথবা আপনি চাইলে সরাসরি গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকেও লেগুনায় তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্কে আসতে পারবেন।
তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্কের রাইড সমূহ
- নাগরদোলা
- রোলার কোস্টার
- কিডস রাইড
- মেরি গো রাউন্ড
- স্পেস শাটল
- মনোরেল
- ফ্রগ হুপার
- ওয়াটার প্লে গ্রাউন্ড
- সোয়ান অ্যাডভেঞ্চার
- হানি সুইং
তামান্না ওয়ার্ল্ড ফ্যামিলি পার্ক টিকেট প্রাইস ও অন্যান্য খরচ
আর এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের খাবার পাবেন। কেননা, এখানে আপনি বিভিন্ন প্যাকেজ হিসেবে খাবার ক্রয় করতে পারবেন। কিংবা চাইনিজ ও দেশিয় খাবার খেতে পারবেন। তাই এই পার্কে ঘুরতে আসলে আপনার খাবার নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হবেনা।
০২ - বাহাদুর শাহ পার্ক | Bahadur Shah Park
আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন কারণ, বাহাদুর শাহ পার্ক ঢাকার একটি ঐতিহাসিক পার্ক হিসেবে পরিচিত। আর এই ঐতিহাসিক পার্কটি রাজধানী ঢাকার সদরঘাটের পাশে লক্ষ্মীবাজারে অবস্থিত। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে, বাহাদুর শাহ পার্ক টি ১৮৫৭ সালের দিকে ভিক্টোরিয়া পার্ক নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। আর এই নামকরণের পেছনে রয়েছে বিরাট একটা ইতিহাস।
কিন্তুু তার পরবর্তী সময়ে ১৯৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের শতবার্ষিকী উপলক্ষে পার্কের নাম পরিবর্তন করে ”বাহাদুর শাহ পার্ক” নামকরন করা হয়।আর যখন আপনি এই পার্কে ভ্রমন করতে যাবেন তখন দেখতে পারবেন যে, উক্ত পার্কটি মূলত ডিম্বাকৃতি। যেখানে আপনি মোট ০৭ টি রাস্তা একত্রিত হওয়ার অপরুপ এক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
বাহাদুর শাহ পার্ক দর্শনীয় স্থান, টিকেট মূল্য ও যাওয়ার ঠিকানা
০৩ - আলাদিন পার্ক | Aladdin Park
আপনারা যারা নিজের পরিবার কিংবা বন্ধুদের সাথে ভ্রমন করতে চান তাদের জন্য এই পার্কটি উপযুক্ত হবে। আর এই জনপ্রিয় আলাদিন পার্ক প্রায় ৪০ বিঘা জমির উপরে নির্মান করা হয়েছে। যেখানে আপনি সময় কাটানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের রাইড, ম্যাজিক শো, ডায়নামিক সিনেমা হলে সহো প্যাডেল বোটের স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও পিকনিক ষ্পট হিসেবে এই পার্কের যথেষ্ট সুনাম আছে।
তো যদি আপনি এই পার্কে ভ্রমন করতে আসতে চান। তাহলে সবার প্রথমে আপনাকে ধামরাই ঢুলিভিটা বাস স্ট্যান্ডে আসতে হবে। তারপর পুনরায় আপনাকে অটো কিংবা সিএনজি করে সিতি পল্লী বাজারে আসতে হবে। আর উক্ত স্থানে আসলে আপনি জনপ্রিয় এই আলাদিন পার্ক দেখতে পারবেন।
আলাদিন পার্ক টিকেট প্রাইস ও রাইড সমূহ
এছাড়াও আপনি যখন প্রবেশ করার পর রাইড করতে চাইবেন তখন আপনাকে রাইডের জন্য আলাদা ভাবে খরচ করতে হবে। কেননা, আলাদিন পার্কের ভেতরে আপনি বিভিন্ন ধরনের রাইড দেখতে পারবেন। যেমন:-
- প্যাডেল বোট,
- কিডি রাইডস জোন,
- ডাবল ডেক,
- স্পিড স্পিনিং কার,
- বুল রাইড,
- বাম্পার কার,
- 12D ডায়নামিক সিনেমা হল
তবে যারা দুর দুরান্ত থেকে এই পার্কে ভ্রমন করতে আসবে তারা চাইলে এখানে রাত্রি যাপন করতে পারবেন। কেননা, এখানে আসা ভ্রমন পিপাসু মানুষদের জন্য থাকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে। আর যদি আপনি রাত্রি যাপন করতে চান তবে আপনাকে প্রতি রাতের জন্য প্রায় ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করতে হবে।
০৪ - যমুনা ফিউচার পার্ক | Jamuna Future Park
যদি আপনি ঢাকা কিংবা ঢাকার আশেপাশে অবস্থান করে থাকেন তাহলে অবশ্যই যমুনা ফিউচার পার্ক এর নাম শুনে থাকবেন। কেননা, এটি হলো দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বৃহৎ একটি শপিংমল। যেটির কাজ ২০০২ সালে শুরু হয়েছিলো এবং ২০১৩ সালে সর্ব সাধারনের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিলো। আর বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র বুধবার বাদে আপনি সপ্তাহের বাকি ০৬ দিন দেখার জন্য আসতে পারবেন।
আর আপনারা যারা এই জনপ্রিয় যমুনা ফিউচার পার্কে আসতে চান তাদেরকে কুড়িল বিশ্বরোড আসতে হবে। সেখান থেকে পুনরায় রিকশা অথবা সিএনজিতে সরাসরি যমুনা ফিউচার পার্কে আসতে হবে।
তো যখন আপনি এই যমুনা ফিউচার পার্কে আসবেন তখন আপনি বৃহৎ আকারের বহুতল শপিং কমপ্লেক্স দেখতে পারবেন। যেখানে প্রবেশ করার সাথে সাথে আপনি বিভিন্ন ধরনের আউটডোর রাইড দেখতে পারবেন। যেমন:- টাওয়ার চ্যালেঞ্জার, ফ্লাইং ডিসকো, ম্যাজিক উইন্ডমিল, স্কাইড্রপ, রোলার কোস্টার ইত্যাদি।
০৫ - রমনা পার্ক | Ramana Park
সত্যি বলতে রমনা পার্ক নিয়ে আর নতুন করে বলার কিছু নেই। কেননা, এই রমনা এলাকাটি নিয়ে রয়েছে অনেক গান, কবিতা ও ইতিহাস। যেখানে আসার পর আপনি এত মনোরম সুনিবিড় ছায়াঘেরা পরিবেশ দেখতে পারবেন যা আপনার মনকে শীতল করে দিবে। আর এই রমনার বটমূলে প্রতি বছর পহেলা বৈশাখে জনপ্রিয় সেই বর্ষবরন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আর আপনারা যারা দুর দুরান্ত থেকে রমনা পার্কে আসতে চান তাদের প্রথমে ঢাকা শাহবাগ আসতে হবে। তারপর শিশুপার্কের একটু সামনে আসামাত্রই আপনার কাঙ্খিত রমনা পার্কের মূল প্রবেশ পথ দেখতে পারবেন। তবে যারা অনেক দুর থেকে এখানে আসবেন তারা চাইলে রমনা এলাকার বিভিন্ন আবাসিক হোটেল গুলোতে থাকতে পারবেন।
রমনা পার্কের দর্শনীয় দিকসমূহ
যদি আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ভ্রমন করতে চান তাহলে রমনা পার্ক হবে আপনার জন্য উপযুক্ত একটি স্থান। কেননা, রমনা পার্ক হলো ৬৮.৫ একর জমির উপর নির্মিত বৃহৎ একটি উদ্যান। যেখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ, গাছপালা, লেক ও খেলার মাঠ দেখতে পারবেন। এছাড়াও রমনা পার্ক বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়।
০৬ - বুড়িগঙ্গা ইকো পার্ক | Buriganga Eco Park
এই পার্কটি বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে অবস্থিত হওয়ার কারণে এর নামকরন করা হয়েছে বুড়িগঙ্গা ইকো পার্ক। যেটি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ কতৃক ২০১২ সালে নির্মান করা হয়েছিলো। যেখানে আপনি নিশ্চিন্তে আপনার পরিবার কিংবা প্রিয় বন্ধুদের নিয়ে অবসর সময় কাটাতে পারবেন।আর জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা ইকো পার্কে আসতে হলে আপনাকে ঢাকা যাত্রাবাড়ি শ্যামপুরে আসতে হবে। আর এই স্থানে আপনি নিজস্ব গাড়ি কিংবা বাসযোগে আসতে পারবেন। বর্তমান সময়ে আপনার মতো এমন হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন বুড়িগঙ্গা ইকো পার্কে আসে।
বুড়িগঙ্গা ইকো পার্ক টিকেট প্রাইস ও দর্শনীয় দিক
আপনি জানলে অবাক হয়ে যাবেন কারণ জনপ্রিয় এই বুড়িগঙ্গা ইকো পার্কে প্রবেশ মূল্য খুবই কম। কারণ এখানে প্রবেশ করতে হলে প্রতি একজনের জন্য মাত্র ৩০ টাকা দিয়ে টিকেট ক্রয় করতে হয়। এছাড়াও আপনি যদি সেখানে প্রবেশ করার পর রাইড করতে চান তাহলে আপনাকে আলাদা ভাবে খরচ করতে হবে।
আর উক্ত পার্কে প্রবেশ করার পর আপনি একাধিক রাইড দেখতে পারবেন। এগুলোর পাশাপাশি আপনি বুল ফাইট, 9D সিনেমা হল, স্ট্রাইকিং কার, ক্যাপসুল, মেরী গো রাউন্ড সহো আরো বিভিন্ন ধরনের বিনোদন মূলক দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
০৭ - ফ্যান্টাসি কিংডম | Fantasy Kingdom
এই পার্কের সম্পূর্ণ নাম হলো, ফ্যান্টাসি কিংডম থিম পার্ক। যে পার্কটি কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড দ্বারা পরিচালনা ও রক্ষনাবেক্ষন করা হয়। আর এই পার্কটিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যেখানে গেলে আপনি নতুন একটি পৃথিবীর স্বাদ নিতে পারবেন। কেননা, বিনোদন উপভোগ করার জন্য এই পার্কে বিশ্বের সব আধুনিক ও জনপ্রিয় রাইড রয়েছে।
তো যারা দুরদুরান্ত থেকে ফ্যান্টাসি কিংডম পার্কে ভ্রমন করার জন্য আসতে চান। তাদের ঢাকা থেকে একটু দুরে সাভার আশুলিয়ায় আসতে হবে। সেখানে আসার পর আপনাকে আরেকটু পথ অতিক্রম করে জামগড়ায় আসলেই রাস্তার পাশেই জনপ্রিয় এই পার্কের প্রবেশপথ দেখতে পারবেন।
ফ্যান্টাসি কিংডম প্রবেশ মূল্য ও দর্শনীয় দিক সমূহ
আর প্রবেশের পর এখানে থাকা রাইড উপভোগ করার জন্য আপনাকে আলাদাভাবে প্যাকেজ সিস্টেমে খরচ করতে হবে। কারণ, এখানে আপনি বিভিন্ন ধরনের রাইড সহো আরো আর্কষনীয় বিষয় লক্ষ্য করতে পারবেন। যেমন:-
- প্লে জোন,
- ওয়াটার ফল,
- ডুম স্লাইড,
- ড্যান্সিং জোন,
- রোলার কোস্টার,
- ম্যাজিক কার্পেট,
- লেজি রিভার,
- লস্ট কিংডম,
- স্লাইড ওয়ার্ল্ড,
- লেজি রিভার,
- পারিবারিক পুল,
- মাল্টি-স্লাইড এবং ওয়াটার পুল,
- লস্ট কিংডম,
- বাম্পার কার,
- মেরি গো রাউন্ড,
- ক্যাপসুল,
- বুল ফাইট,
- স্ট্রাইকিং কার,
- ৯ ডি সিনেমা,
এ গুলোর পাশাপাশি আপনি ফ্যান্টাসি কিংডম এর মধ্যে জাদুঘর, শিশু পার্ক, মুক্তমঞ্চ দেখতে পারবেন। সে কারণে আমরার দীর্ঘ বিশ্বাস আছে যে, এই পার্কে ঘুরতে আসলে আপনার অনেক অনেক ভালো লাগবে।
০৮ - নন্দন পার্ক | Nandan Park
আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশের অন্যান্য বিনোদন পার্ক গুলোর তালিকা তৈরি করেন। তাহলে সবার প্রথম সারিতে যে নামটি আসবে সেটি হলো নন্দন পার্ক। যেটি ঢাকা থেকে কিছুটা দুরে সাভার উপজেলায় প্রায় ৩৩ একর জায়গার উপর অবস্থান করে আছে। আর যখন আপনি এই পার্কে ঘুরতে আসবে তখন আপনি নিজেই দেখতে পারবেন যে, এই পার্কটি কতটা স্বয়ংসম্পূর্ণ।তো যারা দুরদুরান্ত থেকে নন্দন পার্ক আসতে চান তাদের সাভার নবীনগরে আসতে হবে। সেখান থেকে চন্দ্রা মহাসড়কের পাশে বাড়ইপাড়া আসলে আপনি রাস্তা থেকে নন্দন পার্কের প্রবেশপথ দেখতে পারবেন।
নন্দন পার্কের টিকেট মূল্য ও দর্শনীয় দিক সমূহ
দেখুন অন্যান্য পার্কের তুলনায় নন্দন পার্কের প্রবেশ মূল্য কিছুটা ভিন্ন। কারণ অন্য পার্কে প্রবেশ করার জন্য নির্দিষ্ট পরিমান টাকা দিতে হয় আর রাইড করার জন্য আলাদা ভাবে খরচ করতে হয়। কিন্তুু নন্দন পার্কে আপনি রাইডের খরচ সহো টিকেটের মূল্য নেওয়া হবে। আর বর্তমান সময়ে নন্দন পার্কে যে প্রবেশ মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে সেটি নিচের তালিকায় শেয়ার করা হলো। যেমন:-
- ০২ রাইড সহো প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২৯৫ টাকা।
- ১০ রাইড সহো প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৪২৫ টাকা।
- সকল ওয়াটার রাইড সহো প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৫২০ টাকা।
- জিপ রাইড
- রক ক্লাইম্বিং
- র্যাপলিং
- চ্যালেঞ্জ কোর্স
- রোলার কোস্টার
- অবস্ট্যাকল কোর্স
- ওয়াটার কোস্টার
- ক্যাবল কার
- ওয়েভ পুল
- স্যুট ও ফ্যামিলি কার্ভ টিউব স্লাইড
- ওয়েভ রানার
- ডুম স্লাইড
- মাল্টি প্লে জোন
তো আপনি চাইলে জনপ্রিয় এই পার্কে বিভিন্ন দিবস উদযাপন, পিকনিক, ঈদ কিংবা পুজার উদযাপন করার জন্য যেতে পারবেন। আশা করি এই পার্কে ভ্রমন করার পর আপনার অনেক ভালো লাগবে।
০৯ - ফ্যান্টাসি আইল্যান্ড পার্ক | Fantasy Island Park
এই পার্কটি ২০১৬ সালের শেষের দিকে সর্বপ্রথম উদ্বোধন করা হয়েছিলো। যেটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার উত্তরায় প্রায় ০৯ একর জমির উপর নির্মান করা হয়েছে। আর আপনারা যারা দুরদুরান্ত থেকে এই পার্কে আসতে চান তাদের সবার প্রথমে উত্তরা হাউজ বিল্ডিংয়ে আসতে হবে। তারপর আপনাকে পুনরায় রিকশায় বা সিএনজিতে খালপাড়া এলেই ফ্যান্টাসি আইল্যান্ড পার্কে আসতে পারবেন।
ফ্যান্টাসি আইল্যান্ড পার্ক প্রবেশমূল্য ও দর্শনীয় দিক সমূহ
- অক্টোপাস
- বাম্পার কার
- প্যারা ট্রুপার
- স্কাইফল
- চিলড্রেন ট্রেন
- অ্যানিম্যাল কিডি রাইড
- সেল্ফকন্ট্রোল প্লে
- ম্যারি গো রাউন্ড
- সুইংকার
- বানজি জাম্প
- মিনিকার
- পেন্ডুলাম
- হুইলার স্কুটি
- লেডি বাগ
- বে পাইরেট শিপ
- বাম্পার বোট
এছাড়াও যদি আপনি ছোটো শিশুদের নিয়ে ফ্যান্টাসি আইসল্যান্ড পার্কে আসেন। তাহলে তাদের জন্যও আলাদা রাইডের ব্যবস্থা রয়েছে। মূলত সে কারণে প্রতিদিন অনেক মানুষ এই পার্কে ঘুরতে আসেন।
১০ - ঢাকা শিশু পার্ক | Dhaka Shishu Park
বাংলাদেশের রাজধানীর সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো, ঢাকা শিশু পার্ক। যেটি প্রায় ১৯৭৯ সালে সর্বপ্রথম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। আর বর্তমান সময়ে এই ঢাকা শিশু পার্কটি প্রায় ১৫ একর জায়গার উপর অবস্থান করে আছে। তো যারা আসলে এই শিশু পার্কে আসতে চান তাদের ঢাকা শাহবাগে আসতে হবে তারপর রমনা পার্কের বিপরীত পার্শ্বে এই শিশু পার্কের প্রবেশ পথ দেখতে পারবেন।
ঢাকা শিশু পার্ক প্রবেশমূল্য ও দর্শনীয় দিক
অন্যান্য পার্কের তুলনায় এই পার্কের প্রবেশ মুল্য অনেক কম। কারণ, আপনি মাত্র ২০ টাকা খরচ করে উক্ত পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন। যার কারণে এই পার্কটি সবার কাছে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পেরেছে। আর টিকেটের মূল্য কম হলেও এই পার্কে বিভিন্ন ধরনের রাইড দেখতে পারবেন। যেমন:-
- ফুলদানি আমেজ
- বিস্ময় চক্র
- লম্ফ ঝম্ফ
- চাকা পায়ে চলা ও এফ-৬ জঙ্গি বিমান
- মনিদের রেলগাড়ি
- ঝুলন্ত চেয়ার
- উড়ন্ত বিমান
- আনন্দ ঘূর্ণি
- উড়ন্ত নভোযান
- এসো গাড়ি চড়ি
- রোমাঞ্চচক্র
এটি হলো ঢাকায় নির্মিত অনেক প্রাচীন একটি শিশু পার্ক। মূলত শিশুরা যেন তাদের আনন্দ মুখর পরিবেশ থেকে বঞ্চিত না হয় সে কারণেই এই ঢাকা শিশু পার্কের পথচলা শুরু হয়েছে। তাই সময় পেলে অবশ্যই এই পার্কে ঘুরে আসার চেষ্টা করবেন।
ঢাকার পার্ক সমূহ নিয়ে লেখকের কিছু কথা
আর আপনি যদি এমন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার অবসর সময় গুলোতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ, ভালো থাকুন, নিরাপদে ভ্রমন করুন।