ভালবাসার গল্প | একটি রোমান্টিক কষ্টের ভালোবাসার গল্প | Sad Status Bangla

 একটি রোমান্টিক কষ্টের ভালোবাসার গল্প (Sad Status Bangla) - আজকের এই ভালবাসার গল্পটি মূলত আমার এক বন্ধুর সাথে জীবনে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা। শুরুর দিকে রোমান্টিক ভালবাসা থাকল শেষের দিকটা সত্যিই কষ্টের ঘটনাটি আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

আরো দেখুন - স্যামসাং গ্যালাক্সি এ ৭৩ মোবাইল দাম কত

ওয়ালটন R10 মোবাইল এর দাম কত

ওয়ালটন NEXG N6 মোবাইল দাম কত

শাওমি ১১ টি প্রো ৫জি এর দাম কত বাংলাদেশে

ভালবাসার গল্প | একটি রোমান্টিক কষ্টের ভালোবাসার গল্প | Sad Status Bangla


একটি রোমান্টিক কষ্টের ভালোবাসার গল্প 


আজকে আমি আপনাদের সাথে যেই ভালোবাসার গল্পটি শেয়ার করছি সেটি আরো 14 বছর আগের ঘটনা। আমার বন্ধু তখন কলেজে পড়ে ঠিক সেই সময় সে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসে আমার বাড়ির পাশের একটি মেয়েকে দেখতে পায়। যখন সে মেয়েটিকে দেখতে পায় সেই মেয়েটির পরনে ছিল একটি ফোরাক। মেয়েটির বয়স খুব বেশি নয় ।

মেয়েটির সবেমাত্র প্রাইমারি শিক্ষা শেষ করেছে সেবার ভর্তি হবে মাধ্যমিকে।মেয়েটি আমাদের পাশের বাড়ির হিসাবে আমার চাচাতো বোন হয় । আমার বন্ধু যখন আমাকে বলে যে বন্ধু আমার এই মেয়েটাকে ভাল লেগেছে । আমি তখন তার পিছনে একটি লাথি মেরে বললাম এত একটি ছোট মেয়ে তখন বন্ধু হাসতে হাসতে বলল মেয়ে মানুষ বড় হতে সময় লাগে না আমি তারপরও ওকে দুই চারটা চর দিলাম আস্তে করে বললাম চল এখান থেকে।

বন্ধু ঐদিনের মতো ঠিকই চলে আসলো । কিন্তু সে আমাকে না জানিয়ে প্রতিদিন আমাদের ওই বাড়ির পিছনে চলে যেত। একটা জমিতে গিয়ে বসে থাকতো আমি আবারও দেখে ফেলায় ওকে বললাম বন্ধু অনেক ছোট মেয়ে এগুলা বাদ দে। চল নিজের পিছনে সময় দে বন্ধু আমার কথা না শুনে সে প্রতিনিয়ত ও তার কাজ করেই যেতে লাগলো। মেয়েটি মাধ্যমিকে ভর্তি হল।

 আমার এই বন্ধুটি প্রতিনিয়ত ওই মেয়েটির পিছনে চলা শুরু করলো মেয়েটিও একসময় বুঝতে পারল আমার বন্ধু ওকে পছন্দ করে।

এমনই ভাবে একটা বছর চলে গেল মেয়েটি তখন সপ্তম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হল । মেয়েটির এক বান্ধবীর  বন্ধুর চাচাতো  ফুফু ছিল । একটা সময় আমার ঐ বন্ধু আমাকে না বলে তার ফুফুকে দিয়ে ওই মেয়েটাকে বলতে বলল । বন্ধুর ফুফু বলল আমার বান্ধবী আমি বলতে পারব না । বন্ধু এরপরও হাল ছাড়লো না ।

সে আবারও পুনরায় ঐ মেয়ের পিছনে পড়ে থাকল হঠাৎ করে একদিন ওই মেয়ে বাড়ির উঠানে দাঁড়িয়ে রয়েছে আমার সাথে আমার বন্ধুটি রয়েছে । আমি অন্য দিকে তাকিয়ে ছিলাম আমি লক্ষ্য করিনি আমার বন্ধু বলল দেখ ওই মেয়েটা আমাকে হাত  ইশারা দিয়েছে।


আমি বললাম বাদ দে এগুলা। এরপর থেকে বন্ধু আর আমার কাছে তার এই বিষয়গুলো শেয়ার করা বাদ দিয়ে দিল। কিন্তু বন্ধু প্রতিনিয়ত আমাদের বাড়িতে আসত ধীরে ধীরে একটা সময়ে ওই মেয়ের সাথে আমার বন্ধুর সম্পর্ক হয়ে যায় । একটা সময় আসে যখন আমার মাও জানতে পারে যে ওই মেয়েটির সাথে আমার বন্ধুর সম্পর্ক ।

আমার মা তখন বন্ধুকে বলে বাবা এগুলা ছার ওরা ভালো না জীবনটাকে শেষ করে দিবে। আমার মায়ের কথায় বন্ধু হয়তো কষ্ট পেয়েছিল যদিও বলেনি। কিন্তু তারপরও আমার মায়ের কথাটাও সে কর্ণপাত করেনি সে তার মতে সম্পর্ক ঠিক আগের মতই রেখে চলল।


ওই মেয়ে যখন দশম শ্রেণীতে তখন আমার বন্ধুর বাবা এই সম্পর্কের কথা জেনে যায়। সবকিছু জানার পর বন্ধুর বাবা এই সম্পর্ক মেনে নেয় না । আমার বন্ধুর বাবা বিদেশে থাকে। একটা সময় বন্ধুকে চাপ করল যে তাকে বিদেশ নিয়ে যাবে। আমার এই বন্ধুটি তখন কি করবে তা ভেবে পাচ্ছিল না । আমি বললাম বন্ধু চলে যা যদি ও তোকে সত্যিকারি ভালোবাসে তবে তোর জন্য অপেক্ষা করবে সময় নিবে। বন্ধু তারপর রাজী হলো না। একটা সময় ওর বাবার সাথে এই মেয়ে কে কেন্দ্র করে সম্পর্কটা বলা চলে এক প্রকার বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বন্ধুর বাবা বন্ধুকে টাকা পয়সা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। একটা সময় আমার বন্ধু আর পড়াশোনা করতে পারে না । এরপর আমার বন্ধুটি আমাদের বাজারে ছোট একটি দোকান করে । অপরদিকে  ওই মেয়ের বাবা-মা  শুনে যে বন্ধুর বাবা এই সম্পর্ক মেনে নেবে না তখন তারা অন্যত্র ওই মেয়ের বিয়ে ঠিক করে। তখন বন্ধু আমার কাছে অনেক কান্নাকাটি করে এখন সে কি করবে । আমি হুটহাট কোনো কিছু ভেবে না পেয়ে আমি তাকে বললাম যে তোরা বিয়ে করে ফেল । বন্ধু বলল কি করে আমি বললাম ব্যবস্থা আমি করে দিব। 

এর পর আমার এক পরিচিত কাজীর সাথে আমি কথা বললাম সবকিছু ঠিকঠাক করে গোপনে ওদের বিয়ে করিয়ে দিলাম। একটা সময় আসলো যখন এই বিষয়টা মেয়েটা বাধ্য হয়ে তার বাবা-মাকে বলে দিল। সমস্যা তখন আরও বেড়ে গেল ওই মেয়েটার পড়াশোনার খরচ এতদিন তার বাবা-মায়ের দিয়েছিল। যখন বিষয়টি জানতে পারল তখন তারা বলল এখন আর আমি তোমার কোনো খরচ দিতে পারব না ।


তখন থেকে আমার বন্ধু ওই মেয়েটার খরচ বহন করতে লাগলো । এমনিতেই বন্ধুর নিজের জীবন নিয়ে টানাটানি তার উপর আবার এই সমস্যা এসে পরল। বন্ধু মাঝেমধ্যে টাকা ধার দেনা করে চলতে লাগলো এই পর্যন্ত ঠিক ছিল।

আর বন্ধুর এই বিয়ের ব্যাপারটি বাইরের অন্য কোন লোক জানত না আমরা কতিপয় কয়েকজন বন্ধু এবং ওই মেয়ের বাবা মা জানতো।


মেয়েটার যখন ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারের পরীক্ষা দিবে। তখন হঠাত করেই আমার বন্ধুর সাথে অন্য রকম ব্যবহার শুরু করল । মাঝে মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ করতো কোনো কারণ ছাড়াই । দেখা যায় বন্ধু এত কষ্ট করে চলত তারপরও ওই মেয়েটি যা চাইতো চেষ্টা করত তাকে তা দেবার জন্য । হঠাৎ করে একদিন বন্ধুর সাথে ওই মেয়েটা মাত্র 500 টাকার জন্য বড় ধরনের এক ঝগড়া বাধিয়ে দিল।

এখন আর বন্ধুর কথা  মেয়েটির ভালো লাগেনা । বন্ধুকে এখন সহ্য করতে পারেনা। হুট করে বন্ধু কে না জানিয়ে গোপনে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়ে দিল । আর ওই মেয়েটি তার এক নিকট আত্মীয়র সাথে পুনরায় আবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে গেল। 


আমার বন্ধুটি যখন বিষয়টি জানতে পারল তখন সে প্রায় পাগলের মতো প্রতিনিয়ত রাতের বেলা কান্না করত।দুপুরবেলা হলেই অনেক দূরে চলে যেত আবার সন্ধ্যার দিকে সে ফিরে আসত এমনভাবে বছর দুই চলতে থাকলো ।বন্ধুর  মাথায় অনেক ঘন চুল ছিল সেগুলো ঝরে পড়ল এই দুই বছরেই।

একটা সময় ছিল বন্ধু আর বন্ধুর বউ খুব হাসি খুশিতে থাকতো আর এখন আমার বন্ধুটির হাসি খুঁজেই পাওয়া যায় না।

বন্ধু পুনরায় আবার তার বাবা-মার সাথে যোগাযোগ শুরু করলো । বন্ধুর বাবা মা তার সন্তানকে আবার আগের মতোই বুকে তুলে নিল । বন্ধুর বাবা মা অনেক কেঁদেছে তারাও ভাবতে পারেনি যে বিষয়টা এমন হবে তারা ভেবেছিল একটা সময় যে সবকিছু ভুলে তারা তাদের সন্তানের পুত্রবধূকে গ্রহণ করে নিবে। কিন্তু সময়ের স্রোতে সেটি আর হলো না। স্বার্থপর এই পৃথিবীতে সবাই যার যার স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত । তেমনি ভাবে ঠিক মেয়েটা তার স্বার্থ টাকে আপন করে নিল একবারের জন্য চিন্তা করলো না যে যেই ছেলেটা আমার জন্য সবকিছু ছাড়ালো তাকে আমি কোথায় রেখে যাচ্ছি...
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url